Hello friends,
আসসালামু আলাইকূম,
আমি বাংলাদেশ থেকে @sumi46 বলতেছি ।আজকে আমি @steem-bangladesh কর্তৃক আয়োজিত বুক রিভিও তে অংশ গ্রহন করতেছি ।আজকের বুক রিভিওটি হলো "আগুনের পরশমনি" লিখেছেন বাংলাদেশের প্রখ্যাত সাহিত্যিক হুমায়ন আহমেদ ।
![received_849935605649028.jpeg](https://cdn.steemitimages.com/DQmUVVaN2WbkR34iPYf78PNY3FHW2LBrjDVKXQAnHCqZkWi/received_849935605649028.jpeg)
[source](https://www.google.com/search?q=%E0%A6%86%E0%A6%97%E0%A7%81%E0%A6%A8%E0%A7%87%E0%A6%B0+%E0%A6%AA%E0%A6%B0%E0%A6%B6%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A6%BF+%E0%A6%AC%E0%A6%87%E0%A6%AF%E0%A6%BC%E0%A7%87%E0%A6%B0+%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A6%AD%E0%A6%BF%E0%A6%89&client=firefox-b-m&source=lnms&tbm=isch&sa=X&ved=0ahUKEwjy3smZqofyAhU97XMBHca_AAcQ_AUICCgD&biw=360&bih=591#)
## আগুনের পরশমনি বইটির রিভিও ::
বাংলাদেশের প্রখ্যাত সাহিত্যিক হুমায়ন আহমেদ এর একটি বাংলাদশী স্বাধীনতা যুদ্ধ ভিত্তিক উপন্যাস।এটি 1986 সালে অন্য প্রকাশ থেকে প্রকাশিত হয় ।
## উপন্যাসটি সম্পর্কে তথ্য:
বইয়ের নাম | আগুনের পরশমনি
-- | --
লেখক | হুমায়ন আহমেদ
লেখার ধরন | মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক উপন্যাস
প্রচ্ছদ শিল্পী |ধ্রুব এষ
দেশ | বাংলাদেশ
ভাষা | বাংলা ভাষা
ধরন | উপন্যাস
প্রকাশিত | 1986 (অন্যপ্রকাশ )
পৃষ্টা সংখ্যা | 103
![received_806402133283325.jpeg](https://cdn.steemitimages.com/DQmZaRAzi8P2xLaxCW7EV5V6spxHUgByGTzZmGKHD4t5TvJ/received_806402133283325.jpeg)
[source](https://www.google.com/search?q=%E0%A6%86%E0%A6%97%E0%A7%81%E0%A6%A8%E0%A7%87%E0%A6%B0+%E0%A6%AA%E0%A6%B0%E0%A6%B6%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A6%BF+%E0%A6%AC%E0%A6%87%E0%A6%AF%E0%A6%BC%E0%A7%87%E0%A6%B0+%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A6%AD%E0%A6%BF%E0%A6%89&client=firefox-b-m&biw=360&bih=591&tbm=isch&source=lnms&sa=X&ved=0ahUKEwj1noa0xYfyAhXXDd4KHdeKAtYQ_AUICCgD&biw=360&bih=591&biw=360&bih=591#)
## কাহিনী সংক্ষেপ :
1971 সালের জুলাই মাসের 6 তারিখে মতিন সাহেব সারাদিন বদিউল আলম নামের একটি ছেলের আসার জন্য অপেক্ষাকরে কাটিয়ে দিলেন ,কিন্তু সেই বদিউল আলম নামের ছেলেটি যখন এলো তখন সন্ধ্যা পেরিয়ে গেছে,কারফিউ শুরুর সময় হয়ে গেছে ঢাকায় ।বদিউল আলম ঢাকা শহরে 7 জনের একটি দল নিয়ে এসেছে গেরিলা অপারেশন করার জন্য ।সে একজন মুক্তিযোদ্ধা।
মতিন সাহেবের স্ত্রী সুরমা বেগম বদিউল আলমকে দেখে কিছু বললেন না ।রাতে খাওয়া শেষে বদিউল আলমকে শোয়ার ব্যবস্থা করে দিয়ে তিনি বললেন, এখানে তিনি তার দূটি মেয়ে নিয়ে থাকেন ,তাই তিনি চাননা কোন ঝামেলা এখানে হোক,সকালে উঠেই যেন বদিউল আলম চলে যায় ।কিন্তু বদিউল আলম স্পষ্টভাবে বলে দেন সেটা সম্ভব নয় ।তাকে 7 দিন এখানেই থাকতে হবে , কারন যারা তার সাথে যোগাযোগ করবে তাদের ঐই ঠিকানা দেয়া হয়েছে ।
এর পর সূরমা বেগম সহজ ভাবেই মেনে নিলেন বদিউলকে ,দেখতে দেখতে মতিন সাহেবের বাড়িতে 3 দিন কেটে গেলো কীন্তু যাদের আসার কথা তারা কেউই দেখা করতে এলো না ।বদিউল আলম তাদের গোপনমিটিং এর স্থানে গিয়ে দেখে সেখানে কেউ নেই ।পরে 3 দিন বাদে সাদেক আসে দেখা করতে ।তারা তাদের পরিকল্পনা পাকাপাকি করে ফেলে ।দুপূরে দুজন খেতে বসে ,তাদের সাথে খেতে বসে রাত্রী বড় মেয়ে ।
বদিউল আলমরা তাদের পৃর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী নির্দিষ্ট দিনে সবাই একে একে নির্দষ্ট স্থানে জড়ো হয় ।আজকেই তাদের একটা গেরিলা অপারেশনে যাওয়ার কথা ।কিন্তু তাদের বিষ্ফরক নিয়ে যে কাজ করবে সে খুবই অসুস্থ,সে কিছূতৈই যেতে পারবেনা ।নানান দিক চিন্তা করে শেষে তাকে বাদ দিয়েই হামলার আয়োজন করা হয় ।দুটি গাড়ি যোগাড় করা হয় ,যার একটি তাদের নিজের আর একটিগাড়ি অন্য এক ভদ্রলোকের ।
দলটি যাত্রা শুরু করলো তখন কিছু দূর যেতেই সামনে একটা বিপদ দেখা গেলো ।রাস্তায় কয়েকজন পাকিস্তানি সামরিক বাহিনীর লোক চেক পোষ্ট বসিয়েছে ।বদিউল আলমরা দুজন সেখানে ভালো মানুষের মতো নেমে কথা বলতে বলতে হঠাৎ করে আক্রমন করে ।অনায়াসে শত্রুদের খতম করে এগিয়ে যায় ফার্মগেটর দিকে।সেখানে 20-25 জন মিলিটারির একটা চৌকী আছে ।আলমৈর দলরা সেখানে গিয়ে অতর্কিতে দুটো গ্রেনেট ছুড়ে আর একরাশ গুলি করে সবাইকে ধরাশায়ী করে ।
![received_1006398933457664.jpeg](https://cdn.steemitimages.com/DQmWNm25V95gVwPTmDWyQCtsduWxQPZm7FHNwPmg5ABmNL9/received_1006398933457664.jpeg)
[source](https://www.google.com/search?q=%E0%A6%86%E0%A6%97%E0%A7%81%E0%A6%A8%E0%A7%87%E0%A6%B0+%E0%A6%AA%E0%A6%B0%E0%A6%B6%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A6%BF+%E0%A6%AC%E0%A6%87%E0%A6%AF%E0%A6%BC%E0%A7%87%E0%A6%B0+%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A6%AD%E0%A6%BF%E0%A6%89&client=firefox-b-m&biw=360&bih=591&tbm=isch&source=lnms&sa=X&ved=0ahUKEwj1noa0xYfyAhXXDd4KHdeKAtYQ_AUICCgD&biw=360&bih=591&biw=360&bih=591#)
এরপরতারা এগিয়ে যায় হোটেল ইন্টাকনের দিকে ।সেখানে চলতি অবস্থায় দুটি গ্রেনেট ছুড়ে চলে যাবে।বিদেশী সাংবাদিকরা তখন বুজতে পারবে ঢাকাতে যুদ্ধ চলছে ।
এদিকে সুরমা বেগম তার বড় মেয়ে রাত্রির আচরন দেখে বুজতে পারেন রাত্রী বদিউলকে পছন্দ করতে শুরু করেছে।তাই তিনি সেইদিন বদিউল আলম ফিরে এলে তাকে চলে যেতে বলে বদিউল আলম রাত্রীদের বাড়িথেকে চলে যায় তার মামার বাড়িতে ।কয়েক দিনের মধ্যে আরও কয়েকটি গেরিলা বাহিনী ঢাকাতে ঢুকে পরে ।তারা পাওয়ার স্টেশন উড়িয়ে দেয়ার পরিকল্পনা করে ।এর মধ্যে বদিউল আলমরা যায় একটি পেট্রল পাম্প উড়িয়ে দিতে।পেট্রলপাম্প উড়িয়ে দিয়ে ফেরার পথে একটি মেলিটারি ট্রাকের সাথে তাদের যুদ্ধ হয় ।সেখানে বদিউল আলমের শরীরে গুলি লাগে ।তার সহোযোদ্ধা আশফাক তাকে রাত্রীদের বাড়িতে রেখে চলে যায় ডাক্তার ঢাকতে ।কিন্তূ সে ধরা পরে যায় আর্মি ইন্টেলিজেন্সের হাতে ।তখন তার গাড়িতে তার দুজন শহীদ সহযোদ্ধার লাশ ।
বদিউল আলমকে সবাই মিলে নানা ভাবে সেবা করে ।বদিউল আলম ব্যথায় অস্থির হয়ে যায় ।আশফাক ডাক্তার নিয়ে আসবে এই আশায় পথ চেয়ে থাকে সবাই,কিন্তু ওরা জানেনা আশফাক ধরা পরে গেছে ।আশফাক কে তখন টর্চার করা হচ্ছে তার সঙ্গীদের ঠিকানা বলার জন্য ।একে একে আশফাকের হাতের 4টি আঙ্গূল ভেঙ্গে ফেলা হলেও সে কোন ঠিকানাই দেয় না ।তাই তাকে হত্যা করার হুকুম দেয়া হয় আর ডাক্তারের অপেক্ষায় অপেক্ষায় রাত শেষ হয়ে ভোর হওয়ার সময় হয়ে আসে ঢাকার বুকে ।
## উপন্যাটি সম্পর্কে আমার মতামত:
এই উপন্যাসটি আমার পড়ার মধ্যে সবচেয়ে অসাধারন মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক উপন্যাস ।উপন্যাস যখন পরতেছিলাম তখন মনে হলো আমীই গেরিলা বাহিনী হয়ে পাকিস্তানির বিরুদ্ধে ঝাপিয় পরছি ।হুমায়ন আহমেদের আগুনের পরশমনি উপন্যাসটি মনে করিয়ে দেয় 1971সালের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের কথা এবং তাদের আত্মত্যাগের কথা ।
এই ছিলো উপন্যাসটি সম্পর্কে লেখা ,আশা করি ভালো লাগবে সবার ।
ধন্যবাদ সবাইকে ।