সবাইকে আস্সালামু আলাইকুম। আমি আজ বান্দরবানের একটি সুন্দর ঝর্নার পরিবেশ ও কীভাবে যেতে হবে তা তুলে ধরবো।
## স্থান:
হাতিভাঙ্গা পাড়া,হাফেজ ঘোনা, বান্দরবান সদর বান্দরবান।
## কীভাবে যাবেন:
বান্দরবান বাজার হতে, টমটম যোগে রুমা বাস স্যান্ডের একটু সামনে এসে হাতে বাম পাশের রোড দিয়ে ১.০০-১.৩০ মিনিট হাটার পর পাবেন এ ঝর্না।
## যা যা দেখতে পাবেনঃ
ঝর্নার স্বচ্ছ পানি,উচু উচু পাহাড়,সরু পাহাড়ের মাঝ দিয়ে পানি বয়ে যাওয়া, নির্জন পাহাড়ি পথ,পরিষ্কার পানি, অন্ধকার - আলোর মাঝ দিয়ে বয়ে চলা ঝর্না,অসংখ্য চেনা অচেনা গাছ ও পোকা মাকড়,বড় বড় পাথর, অনেক অজনা প্রাণীর শব্দ।
আমরা বন্ধু+ছোট ভাই রা মিলে ছোট খাট একটা ট্যুর দিলাম বা ট্রেকিং ও বলতে পারেন।
প্রথম ত আমরা তিন বন্ধু মিলে সিন্ধান্ত নিলাম ঝর্নায় যাব, আবার সাথে সাথে আরো কিছু বন্ধুদের ফোন করে নিয়ে এসেছি, যেহেতু অনেক পথ হাটা বাকি আছে সেহেতু কিছু শুকনা খাবার সাথে নিয়ে নিলাম।
তিনজন থেকে আট জনে পরিণত হলাম, মানুষ যত বেশি হবে ট্রেকিং তত সুন্দর হবে। মজাও বেশি হবে, হাটা শুরু করলাম মাত্র, ঝিরি পথেই বেশি হাটা লাগে
ঝিরি পথে হাটতে হাটতে সামনে একটি ছোট ঝর্না পেলাম, যা আমাদের আনন্দ ও তৃপ্তি বাড়িয়ে দিল, শরীরে কেমন জানি একটু বেশি উত্তেজনা কাজ করছিল, সবাই মিলে ফটো তোলা ও একবার গোসল সেরে নিলাম
আবার হাটা শুরু সেখান থেকে আরো ৩৫ মিনিট হাটার পর শুকনো খাবার +রেস্ট করার জন্য বসে পড়লাম, ২০ মিনিট রেস্ট নিয়ে আবার হাটা শুরু করলাম।
এবার মূল ঝর্নায় যাওয়ার পালা, খাবারের ব্রেক এর পর ২০ মিনিট হেটেই পেয়ে গেলাম সম্ভাব্য ঝর্না, সবার মনে একটা প্রশান্তি কাজ করছে, ঝর্না দেখার পর যে যার মতো গোসল + ছবি তোলা শুরু করে দিল।
## কিছু ঝর্নার ছবিঃ
একটানা ৪০-৪৫ মিনিট পানি তে ভিজার পর ও ছবি তোলা শেষে ফিরার
জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি, এবার ফেরার পালা, প্রাকৃতিক পরিবেশ পেয়ে পোকা মাকড়ের ছবি না তুলে কি পারি।
এবার ফেরার পথে আবার ছবি তুলে তুলে আসতে লাগলাম
হাটতে হাটতে রাস্তায় চলে আসলাম, সবাই সবাইকে বিদায় দিয়ে যে যার বাসায় চলে এলাম।
সতর্কতাঃ পাহাড়ি রাস্তা+ঝিরি পথ অনেক পিচ্ছিল, দেখে শুনে পা ফেলতে হয়, একা যাওয়ার চেষ্টা করবেন না বিপদ হতে পারে যথাসম্ভব ৫ এর অধিক যেতে চেষ্টা করবেন।
সাথে অবশ্যই শুকনো খাবার নিতে ভুলবেন না
ধন্যবাদ, এত ধৈর্য সহাকারে পড়ার জন্য।
ভাল থাকবেন আস্সালামুআলাইকুম।